মেটাভার্স হলো বাস্তব এবং ভার্চুয়ালের সংযোগস্থলে তৈরি করা জগত, যাকিনা ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ, বিনোদন এবং শেখার অনন্য ও ইউনিক সুযোগগুলো প্রদান করে থাকে। প্রতি বছরই প্রযুক্তির টেকনোলজি দ্রুততম বিকাশ করছে, এবং মেটাভার্স আরোও বেশি করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। যাইহোক, আগামী বছরগুলিতে আমাদের জন্যে ঠিক কি জিনিসগুলো অপেক্ষা করছে? এই নিবন্ধের আর্টিকেলে, আমরা মূল প্রবণতাগুলির ট্রেন্ড দেখবো যা মেটাভার্সের বিকাশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ নির্ধারণ করবে। তবে প্রথমে, আসুন মেটাভার্সের আধুনিক ধারণাগুলির ক্ষেত্রে দেখি।

মেটাভার্সের ধারণাগুলি এখন কীভাবে করে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্যে তাঁদের কী সম্ভাবনাগুলো রয়েছে।

Meta (Facebook)

একটি মেটাভার্স তৈরির সবচেয়ে বিখ্যাত প্রচেষ্টা হলো মেটা প্রকল্পগুলো চালু করা, সেটা হলো Facebook ফেসবুকের নেতৃত্বে। ২০২১ সালে, CEO সিইও মার্ক জুকারবার্গ কোম্পানির নতুন নামকরণের ঘোষণা দেন এবং একটি মেটাভার্সের ধারণাটি বা আইডিয়াটি এমন একটি জায়গা হিসাবে প্রবর্তন বা পেশ বা লঞ্চ করেন যেখানে ডিজিটাল জীবনের বিভিন্ন দিককে কেন্দ্রীভূত করা হবে। Meta মেটা ওকুলাসের মতো VR ভিআর সংস্থানের রির্সোসগুলোকে ব্যবহার করে যোগাযোগ, কাজ এবং বিনোদনের জন্যে ভার্চুয়াল স্পেস তৈরি করার পরিকল্পনার প্ল্যান তৈরি করেছে। Horizon Worlds এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের তাঁদের নিজস্ব ভার্চুয়াল স্পেস তৈরি করতে, ইভেন্ট হোস্ট করতে এবং বন্ধুদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে দিয়ে থাকে। Meta মেটা তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেনো মেটাভার্স সামাজিক বা স্যোশাল সংযোগের বিকাশে একটি যুগান্তকারী এবং কীভাবে করে এটি আমাদের দূরত্বে থাকাকালীন ব্যক্তিগত উপস্থিতির অনুভূতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো দিয়েছে।

Decentraland

Decentraland হলো একটি বিকেন্দ্রীকৃত ভার্চুয়াল বাস্তবতা যেখানে ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা বিষয়বস্তুর কনন্টেটগুলো এবং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অ্যাপসটি তৈরি, অভিজ্ঞতা এবং নগদীকরণ করতে পারে। এই স্থানটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির টেকনোলজি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে, যার অর্থ হচ্ছে ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা জমির প্লটের মালিক হতে পারে, তাঁদের উপর বস্তু তৈরি করতে পারে এবং সেগুলিকে বিক্রি করতে পারে। Decentraland ডিসেন্ট্রাল্যান্ড ইভেন্ট, প্রদর্শনী, গেম এবং আরোও অনেক কিছুরই হোস্ট করতে পারে। প্রকল্পটি অনন্য ও ইউনিক ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা তৈরি করতে চায় এমনসব কোম্পানি এবং শিল্পীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে। প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে যেমন বলা হয়েছে, যেটি অনন্য ও ইউনিক তা হলো Decentraland ডিসেন্ট্রাল্যান্ডের মালিকানা, তৈরি এবং পরিচালিত ব্যক্তিরা প্রতিদিনই এটিকে ব্যবহার করে থাকেন।

Roblox

Roblox হলো গেম এবং ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করার একটি প্ল্যাটফর্ম যাকিনা তরুণদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি ইন্টারেক্টিভ গেম এবং স্পেস তৈরি করার জন্যে টুল অফার করে থাকে যাকিনা অন্য ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের সাথে ভাগ বা শেয়ার করা যায়। Roblox সামাজিক বা স্যোশাল মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ তৈরি এবং ক্রস-প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেসের সুযোগ প্রদান করে থাকে, এটি একটি সফল মেটাভার্সের উদাহরণ তৈরি করে যেখানে ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা শুধুমাত্র খেলতে পারে না, বরংচো তাঁদের সৃষ্টি থেকে অর্থ বা টাকা উপার্জনও করতে পারে। গেমগুলি কীভাবে করে মেটাভার্সের সাথে সম্পর্কিত তা Binance Academy বিনান্স একাডেমি নিবন্ধের আর্টিকেলের মধ্যে বিশদভাবে ও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং আলোচনা করা হয়েছে।

Nreal এবং AR মেটাভার্স

অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এর বিকাশের সাথে সাথে, নতুন মেটাভার্স ধারণার বা আইডিয়ার উদ্ভব হচ্ছে, যেমন Nreal। এই প্রযুক্তিগুলি একটি হাইব্রিড অভিজ্ঞতা তৈরি করে থাকে যেখানে ডিজিটাল সামগ্রীর কনন্টেটগুলো ভৌত জগতে একত্রিত হয়ে থাকে। ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা রিয়েল টাইমে ভার্চুয়াল বস্তুর সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে, আমরা যাকে মেটাভার্স হিসেবে ভাবি তাঁর সীমানা প্রসারিত করে থাকে। শিক্ষা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রযুক্তির টেকনোলজির ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে।

উপস্থাপিত প্রতিটি মেটাভার্স টেবিলে অনন্য ও ইউনিক কিছু নিয়ে আসে এবং একসাথে তাঁরা ডিজিটাল যোগাযোগ, সৃজনশীলতা এবং অর্থনীতির ভবিষ্যত গঠন করে থাকে। তাঁদের বিকাশ এবং তাঁরা যে সুযোগগুলিকে উন্মুক্ত করে থাকে তা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রশ্নটি কেবলমাত্র আমরা কীভাবে করে মেটাভার্স ব্যবহার করবো তা নয়, বরংচো তবে এটি কীভাবে করে বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা বা আইডিয়া পরিবর্তন করবে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনার পিছনে রয়েছে প্রযুক্তির টেকনোলজির একটি জটিল নেটওয়ার্ক, যার মূল ভিত্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), যা এই Forbes ফোর্বস নিবন্ধের আর্টিকেলের মধ্যে বিশদভাবে ও বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।

মেটাভার্সের ভবিষ্যত

ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (VR এবং AR) এর জন্যে হার্ডওয়্যার খরচ কমানো এবং ইন্টারনেট পরিকাঠামোর উন্নতি মেটাভার্সকে আরোও বিস্তৃত দর্শকদের কাছে আরোও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলছে। ইন্টারফেসকে সরলীকরণ করা আরোও বেশি লোককে সহজেই এই নতুন ডিজিটাল জগতে যোগদান করতে দিয়ে থাকে। এটি, পরিবর্তে, একটি আরোও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারকারীর বা ইউজারের ভিত্তির দিকে নিয়ে যায়, যা মেটাভার্সে উপলব্ধ সামগ্রীর কনন্টেটগুলো এবং পরিষেবাগুলির সার্ভিসগুলোর বৃদ্ধিকে চালিত করে থাকে।

বাস্তব বিশ্বের সাথে একীকরণ

আগামী বছরগুলিতে, মূল প্রবণতাগুলির ট্রেন্ডগুলোর মধ্যে একটি হবে বাস্তব বিশ্বের সাথে মেটাভার্সের একীকরণ। আমরা শারীরিক এবং ভার্চুয়াল স্থানগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগ দেখতে পাবো। এঁর উদাহরণস্বরূপ, অগমেন্টেড রিয়েলিটি টেকনোলজির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা তাঁদের বাড়িতে থাকা বস্তুর সাথে ডিজিটাল উপাদানটির ম্যাটেরিয়াল যোগ করে তাঁদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। আমাদের নতুন অনলাইন খুচরা ফর্ম্যাটের উত্থান আশা করা উচিত, যেখানে গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল শোরুমগুলিতে পণ্যগুলিকে চেষ্টা বা ট্রায়াল করতে সক্ষম হবেন এবং তারপরে হোম ডেলিভারির জন্যে তাঁদেরকে অর্ডার করতে পারবেন

সামাজিক বা স্যোশাল মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ তৈরি করার নতুন ফর্ম

Metaverses ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ তৈরি করতে নতুন উপায়গুলো বিকাশ করা হবে। অনেক প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই "ভার্চুয়াল পার্টি" ফরম্যাট, ক্লাসরুম এবং ওয়ার্কস্পেস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এটা প্রত্যাশিত যে, সামাজিক বা স্যোশাল ফাংশনগুলি আরোও উন্নত হয়ে উঠবে, অংশগ্রহণকারীদের ভৌগলিক দূরত্ব নির্বিশেষে ইভেন্টগুলি সংগঠিত করার, অভিজ্ঞতাগুলো ভাগ করে নেওয়ার এবং সম্প্রদায়ের কমিউনিটি সকল তৈরি করার জন্যে ফাংশনাল ক্ষমতা প্রদান করবে।

ভার্চুয়াল সম্পদ অর্থনীতির উন্নয়ন

মেটাভার্সে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের সাথে, ভার্চুয়াল সম্পদ অর্থনীতিতে সক্রিয় বৃদ্ধি ঘটেছে। NFTs (নন-ফাঞ্জিবল টোকেন) ডিজিটাল জগতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে, যা ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের অনন্য ও ইউনিক ভার্চুয়াল আইটেমগুলির মালিক হতে দেয়৷ ভবিষ্যতে, নগদীকরণের নতুন ফর্ম এবং ডিজিটাল সম্পদের রির্সোসগুলোর মালিকানা রক্ষার পদ্ধতিগুলি আবির্ভূত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বিষয়বস্তুর কনন্টেটগুলোর নির্মাতা এবং বিকাশকারীদের জন্যে নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করে থাকে।

নৈতিক সমস্যা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তার স্বার্থে সিকিউরিটি 

মেটাভার্সের সম্প্রসারণের সাথে সাথে বেশ কিছু নৈতিক ও আইনি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এঁর উদাহরণস্বরূপ, কীভাবে করে একটি ভার্চুয়াল পরিবেশে ব্যবহারকারীর বা ইউজারের নিরাপত্তার স্বার্থে সিকিউরিটি, ডেটা সুরক্ষা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান নিশ্চিতভাবেই কনফার্ম করা যায়। গোপনীয়তা এবং বিষয়বস্তুর কনন্টেটগুলো নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলি আরোও বেশি চাপে পড়বে এবং ভবিষ্যতের প্ল্যাটফর্মগুলিকে সুরক্ষিত মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ নিশ্চিতভাবেই কনফার্ম করার জন্যে শক্তিশালী সমাধান সরবরাহ করতে হবে।

স্পষ্টতই, মেটাভার্স একটি গতিশীলভাবে উন্নয়নশীল এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে যেখানে প্রযুক্তি এবং সমাজ স্থির মিথস্ক্রিয়ায় থাকবে। কিন্তু একই সময়ে, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করার জন্যে নৈতিক এবং আইনগত দিকগুলিকে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ হবে যেখানে ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা শুধুমাত্র মজা করতে পারে না, কিন্তু নিরাপদে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

মেটাভার্সের বিবর্তনে ব্লকচেইনের প্রভাব

ব্লকচেইন প্রযুক্তির টেকনোলজি মেটাভার্সের বিকাশে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে, যা শুধুমাত্র ডিজিটাল সম্পদের রির্সোসগুলোর টোকেনাইজেশন প্রদান করে থাকে না, মেটাভার্সের গঠন এবং কার্যকারিতাকেও আকার দিয়ে থাকে। আসুন উদাহরণ দেখি কিভাবে করে ব্লকচেইন মেটাভার্সের জন্যে নতুন সম্ভাবনাগুলো উন্মুক্ত করে থাকে।

সম্পদের মালিকানা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম 

নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (NFTs) ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা তাঁদের অনন্য ও ইউনিক আইটেমের মালিকানা প্রমাণ করতে পারেন, তা ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেট, ডিজিটাল সংগ্রহযোগ্য বা অনন্য ও ইউনিক অবতার স্কিন হোক। ব্লকচেইন শুধুমাত্র প্রমাণীকরণই নয়, মেটাভার্সের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ এবং অর্থনীতির একটি নতুন স্তর বা লেভেল তৈরি করে ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের মধ্যে এই সম্পদগুলিকে সহজেই স্থানান্তরের মাধ্যমে ট্রান্সফার করার ক্ষমতাও দিয়ে থাকে।

অর্থনৈতিক মডেল এবং উপার্জনের সম্ভাবনাগুলো 

ব্লকচেইন-ইন্টিগ্রেটেড মেটাভার্স ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের নগদীকরণ এবং অর্থ বা টাকা উপার্জনের জন্যে নতুন উপায়গুলোকে খুলে দিয়ে থাকে। খেলোয়াড়রা গেমে অংশগ্রহণ করে, সামগ্রীর কনন্টেটগুলো তৈরি করে বা অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের পরিষেবার সেবাটির সার্ভিসগুলো প্রদান করে টোকেনগুলোকে উপার্জন করতে পারে। স্মার্ট চুক্তিগুলি অর্থপ্রদান এবং অ্যাকাউন্টিং প্রক্রিয়াগুলিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক করে থাকে, ব্যবহারকারীদের বা ইউজারদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার আন্তসংযোগ সহজতম করে থাকে এবং মেটাভার্স জুড়ে সৃজনশীলতা এবং সহযোগিতার জন্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করে থাকে।

ব্লকচেইন বিভিন্ন মেটাভার্সের মধ্যে আন্তঃসংযোগ তৈরির দরজাও খুলে দিয়ে থাকে, যা একটি সমৃদ্ধ এবং আরোও সমন্বিত ভার্চুয়াল স্থানের দিকে পরিচালিত করে থাকে যেখানে ব্যবহারকারীরা বা ইউজারেরা প্ল্যাটফর্ম নির্বিশেষে অবাধে চলাফেরা করতে এবং যোগাযোগ করতে পারে।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, মেটাভার্স আরোও আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে, ব্যবহারকারী বা একজন ইউজার এবং বিকাশকারীদের জন্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। কিন্তু মেটাভার্সের ভবিষ্যত কেবল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবকদের হাতেই নয়, নৈতিকতা, অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির টেকনোলজির সীমানা সম্পর্কে বিস্তৃত সামাজিক বা স্যোশাল আলোচনার মধ্যেও রয়েছে।